শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক: ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এবার তা আরও প্রকট হল। করোনা মহামারির জেরে হয়তো চলতি বছর আর আয়োজিত হবে না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বরং তা দু’বছর পিছিয়ে ২০২২ সালে টুর্নামেন্ট করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আইসিসির তরফে অন্তত এমন খবরই শোনা গেল। আগামী ২৮ মে আইসিসি বোর্ডের বৈঠকে টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করা হতে পারে। চলতি বছর ১৮ অক্টোবর শুরু হওয়ার কথা ছিল কুড়ি-বিশের বিশ্বকাপ। ফাইনাল ১৫ নভেম্বর। কিন্তু বিশ্বজুড়ে করোনার কামড়ে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই অনিশ্চয়তা দূর করতেই হয়তো বোর্ডের বৈঠকে টুর্নামেন্টের প্রসঙ্গ তোলা হবে। মূলত তিনটি বিকল্প পথের কথা ভাবা হতে পারে। প্রথমত, ক্রিকেটারদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রেখে নির্ধারিত সূচিতেই বিশ্বকাপের আয়োজন হতে পারে। যেখানে দর্শকদেরও খেলা দেখার অনুমতি দেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত, দর্শকশূন্য মাঠে নির্ধারিত দিনে খেলা শুরু হবে। অথবা তিন, টুর্নামেন্ট পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ২০২২-এ।
বিশ্বে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে মানুষ দিশেহারা। তবে এই মুহূর্তে ভারতের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ার অবস্থা অনেকটাই ভাল। তারা নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে। দেশে লকডাউন চললেও তা অনেকটাই শিথিল। পুরো দেশটাই যেন গ্রিনজোন। ২৮ মে সেখানে শুরু হচ্ছে রাগবি টুর্নামেন্ট। জুনের প্রথম সপ্তাহে মাঠে গড়াবে ফুটবলও। দেশের অবস্থা খারাপ হলে এই দুটি টুর্নামেন্ট শুরু করা যেত না। রাগবিতে আবার নিউজিল্যান্ড থেকে একটি দল এক সপ্তাহ আগে নিউ সাউথ ওয়েলসে পৌঁছেও গিয়েছে। মেলবোর্নের দলটিও সেখানে গিয়ে প্র্যাকটিস করছে। ফাঁকা মাঠে ঘোড় দৌড় শুরু হয়েছে মাসখানেক আগে। এসবই জানিয়ে দিচ্ছে, লকডাউনের মধ্যেও অস্ট্রেলিয়ার অবস্থা কেমন। রাগবি ও ফুটবল খালি স্টেডিয়ামে হবে। তাই প্রশ্ন উঠেছে, এগুলি যখন শুরু করা যাচ্ছে, তখন ক্রিকেট নয় কেন? বলা হচ্ছে, এই দুটি টুর্নামেন্ট চলবে নভেম্বর পর্যন্ত। তাই ক্রিকেট খেলার জন্য মাঠ পাওয়াই কঠিন। ফলে টুর্নামেন্ট পিছলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ারও সুবিধাই হবে। বরং বোর্ড বেশি আগ্রহী ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলতে। এবার দেখার বৈঠকে বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হয় কি না।